চোখ মানুষের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। এটি মানবদেহের অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। চোখের অনেক ছোট ও সাধারণ অসুখ থেকে বড় জটিলতার সৃষ্টি হয়, এমনকি অন্ধত্বও সৃষ্টি হতে পারে। যদি প্রাথমিক অবস্থায় চোখের এসব সাধারণ রোগ বা সমস্যাগুলোর সঠিক চিকিৎসা অথবা যতœ নেওয়া যায়, তাহলে অন্ধত্বের হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করি আমরা। চোখের অসুখ যেমন বড়দের হয়ে থাকে, তেমনি আক্রান্ত হতে পারে নবজাতক শিশুও। আসুন, জেনে নিই কারণÑ
সদ্যোজাত শিশুর চোখের প্রদাহ : শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যে চোখের (কনজাংটিভার) সংক্রমণ ও প্রদাহ হতে পারে। এর নাম অপথলমিয়া নিওনেটারাম। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ শুরু হতে পারে। এসব সংক্রমণ সাধারণত মায়ের প্রসব পথ থেকে আসতে পারে।
লক্ষণ : চোখের পাতা ফুলে যায়; প্রচুর ময়লা বা পুঁজ দিয়ে দুই পাতা লেগে থাকে; মা বলেন জন্মের পর থেকেই পুঁজ পড়ছে।
করণীয় : সাধারণত চোখের কোণায় হালকাভাবে মালিশ করলে এটা ভালো হয়ে যায়। ঘণ্টায় ঘণ্টায় চোখ পরিষ্কার করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতাল বা চক্ষু চিকিৎসকের কাছে রেফার করতে হবে।
জটিলতা : নইলে কর্নিয়ায় ঘা, কর্নিয়া ছিদ্র হয়ে চোখ অন্ধ হতে পারে।
কনজাংটিভায় রক্তক্ষরণ : চোখে আঘাত, জোরে কাশি (হুপিং কাশি), অতিরিক্ত ভারী জিনিস তোলা, অতিরিক্ত বমি, রক্তের রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কনজাংটিভার প্রদাহ, ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে রক্তক্ষরণ হয়ে চোখ লাল হয়।
চিকিৎসা : যেহেতু দৃষ্টির কোনো অসুবিধ হয় না, তাই চোখের চিকিৎসার তেমন প্রয়োজন হয় না।
লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন
বিভাগীয় প্রধান, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরা, ঢাকা
Leave a Reply